শিশুর সর্দি বা ঠাণ্ডা লাগা এবং করণীয়

ঠান্ডা বা সর্দিতে অনেক বাচ্চাই ভুগে। সর্দি হওয়ার পরে সাধারণত ঔষুধ খাওয়ানোর পরে সেরে যায়। কিন্তু এরপর আবার আক্রান্ত হয়ে যায় অনেক বাচ্চার কিছুদিনের মাঝে।

► সর্দি ভাইরাস জনিত রোগ। সর্দিতে বড়রাও কষ্ট করে। কিন্তু শিশুরা বেশি সংক্রমিত হয়ে থাকে। ঔষুধ না খেলেও সর্দি সাধারণত ১ সপ্তাহের মাঝে ভালো হয়ে যায়। কিন্তু এই সময়টাতে বাচ্চারা অনেক কষ্ট করে থাকে।

► করণীয়: 
সর্দি হলে ঔষুধ নেয়া থেকে আগে থেকেই সতর্ক থাকা বেশি প্রয়োজন। বাচ্চাদের মূলত সর্দি হয় বাইরের পরিবেশে কারো সাথে মেশা থেকে। আবার বড়রাও পরিষ্কার না হয়ে বাইরে থেকে এসে কোলে নিলে বাচ্চা সর্দিতে সংক্রমিত হতে পারে। যারা বার বার সর্দিতে আক্রান্ত হয় তার পিছনে এটি বড় ভূমিকা পালন করে। এই অবস্থা এড়াতে নিচের ব্যবস্থাগুলো নিন।

১. কোন কাজ করে বাচ্চাকে ধরার আগে নিজেকে ডেটল সাবান, বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে পরিষ্কার বা হাত জীবাণুমুক্ত করে নিন।

২. বাচ্চাকে বাইরের মানুষের সাথে বা কোলাহল আছে এমন জায়গায় কম নিয়ে যান। খোলা এলাকায় নিয়ে যেতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু বদ্ধ জায়গা যেমন, কারো বাসায় যেখানে অনেক মানুষ এক হচ্ছে কোন পার্টির জন্য, মার্কেট এইসব জায়গা পরিহার করুন। হাসপাতালে গেলেও সতর্ক থাকুন।

৩. যে কোন অতিথী বাচ্চাকে কোলে নেয়ার আগে হাত ধুয়ে নিতে বা স্যানিটাইজ করতে বলুন। আর বাচ্চার গায়ে মুখ দেখা থেকে বিরত থাকতে বলুন। হয়ত বড়রা সর্দিতে আক্রান্ত হয়নি কিন্তু ভাইরাস নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

৪. পরিষ্কার জামা কাপড় ব্যবহার করুন। বাচ্চাকেও পরিষ্কার জামা-কাপড় পরান এবং পরিবারের অন্যদেরকেও।

‼ যদি ঠান্ডা খুব বেশি লেগে গেছে মনে হয়, এবং বুক থেকে শব্দ গড়গড় বা শো শো শব্দ হয় তাহলে ওটা নিউমোনিয়ার লক্ষণ হতে পারে। এমন হলে দেরী না করে ডাক্তার দেখান।

শিশুর সর্দি বা ঠাণ্ডা লাগা এবং করণীয়